- মনে আছে সিরিয়ার সেই ছোট্ট শিশুর কথা, যে বলেছিল আমি আল্লাহ কে সব বলে দিব!!😭😭 সিরিয়ান শিশুদের উক্তি যা যুগ যুগ ধরে মুসলিম জাতিকে কাঁদাবে😪
১. একটি শিশু তার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের আগ মুহূর্তে বলেছিল,
"আমি আল্লাহকে সব কিছু বলে দিবো।"
মনে আছে কি আপনাদের সিরিয়ার সেই শিশুটির কথা, যখন সিরিয়াতে রাসায়নিক বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছিল, আর হাজার হাজার মানুষ সেই বোমার বিষক্রিয়ায় আহত ও নিহত হয়েছিলেন, তখন সেই মুসলিম জনপদে একটি শিশু বলেছিল আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো,আমার মনে হয় সেই শিশুদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন, এবং আল্লাহ তার কথা শুনেছেন, সিরিয়ার মুসলিম হত্যা হচ্ছে বলে তখন কেউ কোনো কথা বলেনি, সিরিয়ায় হামলা করতে যাওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলেনি, কেউ কোন অবরোধ আরোপ করেনি, আল্লাহ এখন এমন এক গজব আমাদের উপর আরোপিত করেছেন যেটি রাসায়নিক বোমা থেকেও মারাত্মক, আজ আমরা মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য পুরা পৃথিবী অবরোধ করেছি, কিন্তু শেষ রক্ষা হবে তো,?আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুক,, গজব যখন আসে কাউকে ছাড়বে না আপনি যত আল্লাওয়ালা হোন না কেন,? তাই গজব আসার পূর্বেই আমাদেরকে সংশোধিত হতে হবে,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক,,
 |
| সিরার সেই ছোট্ট শিশুটির মৃত দেহ নিয়ে যাচ্ছে তার পরিবার |
আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!
সেই সিরিয়ান শিশুটি যে মৃত্যুশয্যায় বলেছিল, আল্লাহর দরবারে গিয়ে আমাদের নামে নালিশ করবে, এই করোনা কি তারই ফসল?এই করোনা কি চীনের উইঘুরের নির্যাতিত মুসলমানদের আত্মচিৎকার এর ফসল?নাকি কাশ্মীরের সম্ভ্রম খোয়ানো অবলা সে মা-বোনদের গগনবিদারী চিৎকারের ফসল?নাকি ঘরবাড়ি, স্বজনহারা লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু শরণার্থী মুসলমানদের হাহাকারের ফসল?নাকি এই করোনা আরাকানের ভিটাবাড়ি হারা অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের কান্নার ফসল?নাকি করোনা গুজরাতের জীবন্ত দগ্ধ এবং দিল্লির নির্মমতার শিকার মুসলমানদের মৃত্যু যন্ত্রণার ফসল?আজ নামাজি আছে কিন্তু মসজিদগুলো শূন্য, তালাবদ্ধ। এটা কি বাবরি মাসজিদের আর্তচিৎকারের ফসল?নাকি আরাকানের শত শত বিধ্বংস মসজিদ-মাদ্রাসার কান্নার ফসল?আজ আমরা যুদ্ধ ছাড়াই অবরুদ্ধ। হয়তো সামনে আসছে সীমাহীন দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ। এটা কি কাশ্মীর, আরাকান সিরিয়া ও দিল্লির অবরুদ্ধ মুসলমানদের গগনবিদারী চিৎকারের ফসল!সারা বিশ্বের মানব আজ নিজ নিজ গৃহে বন্দী। মসজিদ মাদ্রাসাগুলো আজ অবরুদ্ধ, অথচ নেই কোন যুদ্ধ। তবু যেন সবাই কারারুদ্ধ। ফ্রান্স নেকাব নিষিদ্ধ করলো আজ সারাবিশ্ব নেকাবে ঢাকা। চীন আরাকান দিল্লী কাশ্মীর মুসলমানদের অবরুদ্ধ করল আজ সারা বিশ্ব অবরুদ্ধ।সিরিয়ার লক্ষ লক্ষ মুসলমান উদ্বাস্তু হলো, আজ সারা বিশ্ব উদ্বাস্তু।
রাশিয়া নিরস্ত্র সিরিয়া বাসীর উপর জীবাণু বোমা নিক্ষেপ করল আজ সারা বিশ্ব করোনা জীবাণুতে আক্রান্ত।
পুরো পৃথিবী আজ এক জীবাণুর মুখোমুখি, কিন্তু উম্মাহর কাছে জীবাণু ছড়িয়েছিলো অনেক আগেই, সিরিয়াতে। যখন রাশান বিমানগুলো সিরিয়ার জনপদে একের পর এক জীবাণু-বোমা নিক্ষেপ করেছিল। মনে আছে সেই সিরিয়ান শিশুকন্যার কথা? যে মৃত্যুশয্যায় অভিমান করে বলেছিল- “আমি আল্লাহর কাছে গিয়ে সব বলে দেবো, নালিশ করবো তোমাদের নামে!“ আজ মুসলিম উম্মাহ সহ গোটা পৃথিবী সেই শিশুর দায়ের করা মামলার সামনে দাঁড়িয়ে।আমরা কতদিন পারবো এই মামলা লড়ে যেতে? একজন মজলুম শিশুর মামলা, প্রতাপশালী আল্লাহর দরবারে।কোয়ারেন্টাইন থেকে পালাচ্ছে হতবিহবল মানুষগুলো। ফিলিস্তিনের সেই কোয়ারেন্টাইনের কথা মনে পড়ে কী? যেখানে উম্মাহর ভাইয়েরা অতিষ্ঠ জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। অত্যাচারীরা গজব থেকে বাঁচতে আজ নিজেই নিজের বানানো কোয়ারেন্টাইনে বন্দি। মাজলুমের বসতিতেও তারা আজ অবাঞ্ছিত।
আরাকানেও মাসজিদ ছিলো, ছিলো মাদ্রাসা। কিন্তু সেখানে জামাত হতে পারতো না, দ্বীনের দারস হতে পারতোনা। বর্মী সৈন্যদের বাঁধার মুখে রোহিঙ্গা মুসলিমরা অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকতো শুন্য মাসজিদের দিকে। আহাজারি করতো শূয়রের খোঁয়াড়ে পরিণত হওয়া মাদ্রাসাগুলোর দিকে তাকিয়ে।
আজ মুসলিম বিশ্বের মাসজিদগুলো শুন্য। আযান নেই। উমরা নেই। আরাকানের স্বাদ আস্বাদন করে কেমন বোধ করছো হে উম্মাহ!
লক্ষ্য ডাউন করা কাশ্মীর এখন উন্মুক্ত। বরং হিন্দু সন্ত্রাসীদের রাজভবন আজ লকড ডাউন। নিজ পরিবারের কাছেই তারা এখন অচ্ছুৎ।
চেতনার ‘জয় শ্রীরাম’ চুপসে গেছে বাস্তবতার ‘করোনা’র কাছে। প্রোপাগান্ডার বায়বীয় ‘গোমূত্র’ থেরাপী স্বয়ং হিন্দুরাই এখন চেখে দেখতে নারাজ। ‘করোনা’ যখন ফণা তুলছিলো তখনো তোমরা দিল্লীতে মেতে ছিলে রক্তের নেশায়। এখন কোথায় সেই দুঃসাহস!?
যে দাঙ্গা পুলিশ লাগিয়ে ইউরোপ শরণার্থীদের তাড়াচ্ছিলো কয়েক সপ্তাহ আগে, তারাই এখন তাড়াচ্ছে ইউরোপিয়ানদের। নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখতে। মুসলিম নিধনে অবদান রাখা তাদের ডোনেশন গুলো ফিরে এসেছে ‘করোনা’র ছদ্মবেশে। আপনজনের লাশ কতো ভারী হে ইউরোপ?!অর্থনীতির চীন! কোনটা বেশি দামী? উইঘুর মুসলিমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাকি করোনার প্রতিষেধক? আজ প্রতিটা এলাকা উইঘুরে পরিণত হয়েছে। মুসলিমের রক্তে রঞ্জিত হাতগুলো কতবার ধুলে করোনামুক্ত হবে? পৃথিবীর প্রতিটা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আজ তোমাকে অভিসম্পাত করে হেই চীন। পৃথিবীবাসী কামনা করে- হায়! চীন বলে যদি কিছুই না থাকতো এই দুনিয়ায়!!৩. একটি শিশু ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেছিলো," ও আল্লাহ, আমি মরতে চাই! আমাদের কোন রুটি নেই কেন? আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাও যাতে আমরা রুটি খেতে পারি!"...
আমি_আল্লাহকে_সব_বলে_দিবো
তোমরা_আমার_প্রতি_অন্যায়_করেছো।
( সিরিয়ান ছোট্টু মেয়েটা)
*” আল্লাহ তোর কথাই শুনেছে রে বোন,,আমরা খুব পাপী আমরা নামধারী নিকৃষ্ট মুসলিম। আমরা কেউ তোদের আত্ব চিৎকার শুনতে পাইনি।
*”.তোর আর্তনাদ শুনেছে আল্লাহ তালা,,আসলে মুসলমান নামদারী আমরা এই জমিনে থাকার অধিকার রাখিনা রে,,তোর আত্বচিৎকার শুনে ও আমরা অন্ধ হয়ে ছিলাম। আমরা ইহুদি আর কাফেরদের থেকে তোদের রক্ষা করার জন্যে একটু এগিয়ে যাইনি রে বোন!!
*” হে-আরশের মালিক রাব্বি করিম আল্লাহ
আমাদের আপনি ক্ষমা করে দিন, আমরা পাপী আমরা নিকৃষ্ট #করোনা_ভাইরাসের_মহামারী_থেকে_রক্ষা_করুন_আল্লাহ
নির্মম,নিষ্ঠুর পৃথিবী তার কর্মফল ভোগ করছে না তো!!
রহম করুন ইয়া রব!! আমাদের ক্ষমা করুন আল্লাহ!!
# কামাল।
0 Comments